Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

Friday, November 27, 2020

২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত

২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত






আগামী মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত। তবে করোনা মহামারীর কারণে নৌপথে আনতে হবে চেন্নাই থেকে- এমনটাই জানিয়েছেন নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

আর তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যা সমাধানে চলতি বছরই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ঢাকা দিল্লি বিশেষ বিমান পরিবহন চলতি মাসেই চালু হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গত বছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরে পূর্বঘোষণা ছাড়া পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। সম্প্রতি আবার ভারত রফতানি চালু করলেও তা শুধু চেন্নাই বন্দর দিয়ে।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, শিপমেন্ট একটা বড় ইস্যু। করোনার কারণে আমাদের অনেক স্থলবন্দর এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই চেন্নাই সমুদ্র বন্দর দিয়ে এ পেঁয়াজ নিতে হবে। কারণ পেঁয়াজ ওই এলাকার। আমরা দুই জাতের ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তার পানিবণ্টন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। দুই দেশের পানি সচিব দ্রুতই বৈঠকে বসবেন এ ইস্যুতে। এক দশক বন্ধ থাকা যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত।

করোনার কারণে ৭-৮ মাস বন্ধ ভারতের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ। সেটি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। এবার বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে ভারত যেতে ইচ্ছুকদের জন্যও সুবিধা বাড়াচ্ছে দেশটি।

Tuesday, July 7, 2020

ভুটানের সাকতেং অরণ্যের ওপরেও এবার চীনের দাবি, দিল্লিকে আরও চাপে ফেলাই লক্ষ্য?

ভুটানের সাকতেং অরণ্যের ওপরেও এবার চীনের দাবি, দিল্লিকে আরও চাপে ফেলাই লক্ষ্য?



লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধের পটভূমিতেই চীন এবার প্রতিবেশী ভুটানের পূর্বাঞ্চলে একটি বিস্তীর্ণ অংশের ওপরও নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে।
পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, মূলত দিল্লির ওপর আরও চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেই ভুটানের ওই সাকতেং অভয়ারণ্যকে চীন নিজেদের বলে দাবি করছে- কারণ ভুটানের অখণ্ডতা রক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্য ভারত অঙ্গীকারাবদ্ধ।
চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভুটান দিল্লিতে তাদের দূতাবাস মারফত চীনের কাছে একটি ডিমার্শ বা কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছে।
ভুটানের পূর্বদিকে ত্রাশিগিং জেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় প্রায় সাড়ে ছশো বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি অভয়ারণ্যের নাম সাকতেং – যা বহু বিরল বন্য পশুপাখির আবাসভূমি।
মাসখানেক আগে এই বনভূমির উন্নয়নে একটি প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে 'গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি' বা জিইএফ একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন বৈঠকের আয়োজন করেছিল – সেখানেই চীন প্রথম দাবি করে সাকতেং তাদের।
বিশ্ব ব্যাঙ্কে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধি অপর্ণা সুব্রামনি ওই বৈঠকে ভারত-ভুটান-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি চীনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সম্প্রতি ওই অনলাইন বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী সামনে আসার পরই বোঝা যায় যে ভুটানের সাকতেং-কেও চীন এখন বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে।
এরপর এ সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের 'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকাকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাকতেং-য়ের ওপর তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেছে 'কোনও তৃতীয় পক্ষ যেন এখানে নাক না-গলায়'!
কেন সাকতেং-য়ের ওপর চীনের এই দাবি?
থিম্পুতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইন্দর পাল খোসলা বলছিলেন, আমার মতে চীন এখন পুরোপুরি একটা সম্প্রসারণবাদী দেশের মতো আচরণ করছে।
তারা ভুটানের এমন একটা জায়গা দাবি করে বসেছে যেটা নিয়ে আগে কখনও বিতর্ক ছিল না, ওই দুই দেশের মধ্যে চব্বিশ রাউন্ড সীমান্ত বৈঠক হলেও সাকতেং কিন্তু কখনও আলোচনার টেবিলেই ওঠেনি। এখন তো দেখছি তারা কোনও সীমান্ত সমঝোতারই ধার ধারছে না, এমন কী রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত দাবি করছে। আমরা শুধু আশা করতে পারি, চীনের এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট বেশিদিন চলবে না এবং তারা এই সব বন্ধ করবে।
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-তে চীন বিশেষজ্ঞ এম টেলর ফ্র্যাভেল জানাচ্ছেন, চীনের এই দাবির পেছনে আছে ১৭১৫ সালে তিব্বত ও ভুটানের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তি।
ওই চুক্তিতে না কি সাকতেং-য়ের ওপর তিব্বতের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়া হলেও ভুটানের মেষপালকদের ওই তৃণভূমিতে গরু-ভেড়া চরানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
১৯৪৯ থেকে সাকতেং ভুটানের অংশ – কিন্তু এখন চীন বলছে যেহেতু তিব্বত তাদের, সুতরাং সাকতেংয়ের ওপরও তাদের অধিকার বর্তায়।
সাকতেং কি স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
দিল্লিতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ডিপ্লোম্যাটিক এডিটর ইন্দ্রাণী বাগচীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এই অভয়ারণ্যের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কোথায় যে চীন এটি কব্জা করতে চাইছে?
তিনি বলছিলেন, ওই অঞ্চলের মানচিত্রটা দেখলেই বুঝবেন ওই সাকতেং হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশের যে সেলা পাসে '৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধ হয়েছিল তার ঠিক উত্তর দিকের এলাকা।
"চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল গোটা অরুণাচল প্রদেশটাকেই কব্জা করে নেওয়া, ফলে এটা সেই পরিকল্পনার একটা অংশ হতেই পারে। "
"দ্বিতীয়ত, বিশেষ করে এই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ চীন দেখতে পাচ্ছে লাদাখ বা কালাপানি নিয়ে ভারত আগে থেকেই চাপে আছে – ফলে দিল্লির ওপর রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোও একটা উদ্দেশ্য হতে পারে। "
"তৃতীয়ত, চীন ভুটানের ওপর এই চাপটা এমন একটা মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় যাতে ভুটান ভারতকে বলতে বাধ্য হয় যে আমরা চীনের সঙ্গে আলাদাভাবে বিষয়টা নিয়ে বোঝাপড়া করে নিচ্ছি!", বলছিলেন ইন্দ্রাণী বাগচী।
চীনের আসল নিশানা কি তাহলে ভারত?
বস্তুত ভারতের প্রভাব বলয় থেকে ভুটানকে যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চীনের দীর্ঘদিনের।
তবে তিন বছর আগে ডোকলাম সঙ্কটের সময় যেভাবে ভারতীয় সেনারা ভুটানের হয়ে চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল, চীনকে সেটা বেশ অবাকই করেছিল।
তারপরেও অবশ্য ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে গেছে চীন, থিম্পুতে তারা দূতাবাসও খুলতে চেয়েছে বার বার।
ইন্দ্রাণী বাগচী জানাচ্ছেন, "কূটনৈতিক সম্পর্ককে আপগ্রেড করে থিম্পুতে চীন তাদের নিজস্ব দূতাবাস খুলতে চাইছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভুটানের রাজাদেরই তাতে আপত্তি ছিল। "
"আসলে এটা কিন্তু শুধু চীন নয়, বেশিরভাগ দেশেরই থিম্পুতে কোনও দূতাবাস নেই – দিল্লিতে সেই সব দেশের রাষ্ট্রদূতরাই ভুটান-টা কভার করে থাকেন। এটা আমেরিকা বা জাপানের ক্ষেত্রেও সত্যি। "
"তারপরও চীন বারবার ভুটানে নিজেদের দূতাবাস চেয়েছে। কিন্তু ভুটানের রাজা, যাকে সে দেশের লোক 'কে-ফোর' বা 'দ্য কিং ফোর' বলে ডাকেন, তিনি ও তাঁর পূর্বসূরী কে-থ্রি মিলে অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটার কোনও দরকার নেই। ''
সাকতেং-য়ের ওপর চীনের দাবিকে নস্যাৎ করে ভুটানের যে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র বা ডিমার্শ, সেটাও পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে চীনের দূতাবাসেই।
আর ভারত মনে করছে, লাদাখের গালওয়ান বা প্যাংগং লেকে চীনের সঙ্গে এবং কালাপানিতে নেপালের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ তো আছেই – এখন সাকতেং-এও ভুটানের বকলমে আসলে ভারতের সঙ্গেই চীন বিরোধের নতুন একটি ফ্রন্ট খুলতে চাইছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Wednesday, October 2, 2019

উন্নয়ন ধ্বংসের উইপোকা দমনে কঠোর প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন ধ্বংসের উইপোকা দমনে কঠোর প্রধানমন্ত্রী



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ উইপোকায় ধ্বংস করা থেকে রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর মাধ্যমে দেশীয় সব টেলিভিশন চ্যানেলের বাণিজ্যিক ট্রান্সমিশনের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলতি বাজেটে ১৭৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ উইপোকারা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্থ লুটে নিচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের প্রতিটি পয়সার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য আমাদের ওই সব উইপোকাকে আটক করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখব। এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে দল–পরিবারনির্বিশেষে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমি দেশের দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী কোনো ধরনের প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার না করার জন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচারগুলো সরকারের বিরোধিতার নামে মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে আরেকটি আবেদন রাখতে চাই। আপনারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরুন, যাতে করে দেশবাসীর মনে সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হয় এবং তারাও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে।

Monday, May 20, 2019

স্বাস্থ্য থেকে তথ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

স্বাস্থ্য থেকে তথ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। আজ রোববার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্বিন্যাস করে এই বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব আর তাঁর হাতে থাকল না। ওই বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আলম পলক এখন এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের দায়িত্বও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি এখন শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। আর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার দায়িত্বে এই প্রথম পরিবর্তন আসল।

Monday, April 1, 2019

গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোর মিছিল

গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোর মিছিল



গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ভয়াল ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবসের কালোরাত স্বরনে চাঁচকৈড় বাজারে প্রদর্শিত হলো আলোর মিছিল। মিছিলটি সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার পাট হাটা ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপজেলা চত্তরের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনার পাদদেশে শহীদদের স্বরণে নিরবতা পালন,আলোচনাসভা,মিলাদ ও দোয়া,বাংলাদেশের অঙ্কিত মানচিত্রে মোমবাতি প্রজ্জলিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন। আলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশিষ কবির সুবাস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব,এমপি পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন,জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হকসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। অয়োজক ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন ও সুবাশিষ কবির সুবাস জানান,২৫ মার্চ বাঙ্গালী জাতীর জীবনে কালো রাত,কালো অধ্যায়। প্রজ্জলিত আলো দিয়ে কালো আঁধার দুর করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতীতে গিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আলোর মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে আমরা ২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙ্গালীর বুকে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞকে স্বরন করেছি। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ২৫ মার্চে শাহাদৎ বরনকারী শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক শেখ মুজিবসহ সকলের আত্মার শান্তি কামনা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

Sunday, March 31, 2019

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশ

গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশ




 গত ১০ মার্চ গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ীদের সরকারী গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৩ মার্চ শনিবার নাটোর জেলায় নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সরকারী গেজেট প্রকাশিত হযেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়,নির্বাচন প্রশাসন শাখার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রালয়ের পক্ষে তারিকুল ইসলাম খান ও আব্দুল মালেকের স্বাক্ষরে ওই গেজেট প্রকাশিত হয়। নাটোর জেলার নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার ড. মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম ওই গেজেটে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ১০ মার্চ শান্তিপুর্নভাবে শেষ হয় গুরুদাসপুর উপজেলার ভোট গ্রহন। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতিকে ৪৩ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হন আলাল শেখ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা রোকসানা আকতার বিজয়ী হন। নির্বাচনের ১২ দিন পর ওই গেজেট প্রকাশিত হলো। আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিতদের শপথ। এর পরই নির্বাচিত তিন জন আনুষ্টানিকভাবে তাদের দায়িত্বভার বুঝে পাবেন।
প্রবীণ সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে ছাত্র পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

প্রবীণ সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে ছাত্র পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন



সাকলাইন শুভ, বড়াইগ্রাম (নাটোর) : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর) আসনে সপ্তমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত এবং পঞ্চম বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। 
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সদস্যবৃন্দ রাজধানীর সংসদ সদস্যদের বাসভবন অর্থাৎ ন্যাম ভবনে অাজ এই প্রবীন নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। 
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৩ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।  প্রবীণ পার্লামেন্টারীয়ান ও বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসাবে মন্ত্রীত্ব তাঁর প্রাপ্য বলে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) নির্বাচনি এলাকার জনসাধারণ মনে করছেন।  সরকার প্রধানের কাছে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার দাবি থাকবে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ড. তুহিন সুভ্র রায়, এ্যড. সাজিবুর রহমান দুর্জয়, ডা. মো. আলতাব হোসেন, চলনবিল প্রবাহের সম্পাদক মাহমুদুল হক খোকন, শাহরিয়ার হাসান জুয়েল, ব্যাংক কর্মকর্তা ফাত্তাহ তানভির রানা, শেখ রাসেল, তানভির রুবেল, মানিক, সৌমিক সহ প্রমূখ।  
গণহত্যার স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি: হানিফ

গণহত্যার স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের কারণে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি।


তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। তিনি শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছেন।


তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর অবহেলার জন্যও ভয়াল ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিকে জোরালো করেছি। তার নেতৃত্বেই আমরা জাতিসংঘে ২৫ মার্চের ভয়াবহ এই গণত্যার স্বীকৃতি আদায় করবো।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃত করেছে। এ দায় এড়াতে তারা একাত্তরের গণহত্যার বিচারকে বাধা দিয়েছে। সে কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এত বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এ স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। সরকার এ স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদেরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

ওবায়দুল কাদেরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) এবং নিওরোলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু নাসার রিজভী মেডিকেল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতাল লবিতে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও অন্যদের এ তথ্য জানান।

ডা. আবু নাসার রিজভী বলেন, বাইপাস সার্জারির পর ওবায়দুল কাদের এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। ওনার রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে আছে।

গত ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।

সে সময় হাসপাতাল লবিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের, তার ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা এবং আওয়ামী লীগ নেতা নাইমুজ্জামান মুক্তাসহ তার পরিবারের সদস্য ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
‘আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে’

‘আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে’

আজকে আমাদের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজ থেকে ৪৮ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আসলে কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? আমরা এখন স্বাধীন হইনি, মুক্ত হইনি। আজকে একটা পাথর আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে।

আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যায়ের সামনে দলটির পূর্বঘোষিত র‌্যালির উদ্ধোধন ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে অত্যাচার নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় তাদেরকে আমরা অপসারণ করি। আসুন জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করে দল-মত নির্বিশেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি এবং একইসঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করি।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যিনি তার সারাটি জীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন যিনি স্বাধীনতাকে সুসংগত করার জন্য কাজ করেছেন সেই মহান নেত্রীকে আজ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। আজকে তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।

র‌্যালির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
‘আওয়ামী লীগের শেকড় মাটি ও মানুষের সঙ্গে গাঁথা’

‘আওয়ামী লীগের শেকড় মাটি ও মানুষের সঙ্গে গাঁথা’

এ দেশের জনগণ ও মাটির সাথে আওয়ামী লীগের শেকড় গাঁথা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাই বার বার চেষ্টা করেও কেউ এই দলটিকে ধ্বংস করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল অধিকার আদায়ের এবং রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগকে শেষ করার জন্য আইয়ুব-ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ এবং খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলাদেশের জনগণের সাথে আর বাংলার মাটিতে এমনভাবেই গাঁথা যে, এটাকে কখনও শেষ করতে পারেনি কেউ’।


প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায়সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বরং আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যে দল জনগণের কথা বলে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে গড়ে ওঠে, সেই দলই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যাদের সৃষ্টি, তাদের গোড়ায় কোন মাটি থাকে না। ঐ স্বর্ণলতার মত গাছের ডালে বসে ঐ গাছের রস খেয়ে বাঁচে, গাছ মরে গেলে তারাও থাকে না। কাজেই তাদের কোন অস্তিত্ব থাকে না, ক্ষমতা ছাড়া। সেটাই আজ বাংলাদেশে প্রমাণিত সত্য।’

তিনি বলেন, যে যতই গণতন্ত্র নাই বলে চিৎকার করুক ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারিদের হাতে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল কখনই গণতন্ত্র দিতে পারে না। দেশের মানুষের কল্যাণও করতে পারে না। তাই যদি করতে পারতো তাহলে এই ২১ বছর (’৭৫ এর পরে ২১ বছর) যারা যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পারতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কিন্তু বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারে নাই, করেও নাই। বরং দেশের মানুষকে তারা ভিক্ষুক বানিয়ে রেখেছিল।


প্রধানমন্ত্রী বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার ঘোষণা দিলাম তখন তিনি বলেছিলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না, তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য (ভিক্ষা) পাওয়া যাবে না। এই ছিল তাদের মানসিকতা, কারণ তারাতো দেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করেনি।’

অন্যদিকে জাতির পিতার বক্তব্য- ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না’ উদ্বৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে কারণে আজকে দেশকে আমরা এমন জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি যে কেউ আর আমাদের করুণার চোখে দেখে না, ভিক্ষুক জাতি হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ মানেই দুর্যোগের দেশ মন্তব্য করে অবহেলার চোখে দেখে না।’

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের আর্থসমাজিক উন্নযনের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে যেমন আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপন করে মহাকাশ জয় করেছি, সমুদ্র সীমা সমস্যার সমাধান করেছি, আমাদের সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন করেছি- যার সব কাজই জাতির পিতা শুরু করে গিয়েছিলেন।

তিনি তার সরকারের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন ক্রয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘অর্থাৎ মহাকাশ থেকে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত আমাদের বিচরণ যাতে আমরা করতে পারি সেই ব্যবস্থা আমরা করে গেছি। যারা এর আগে ক্ষমতায় ছিল তারা এর কিছুই করে নাই এবং করতেও চায়নি, বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক এটাও তারা চায়নি। ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়েছে আর ঐ হানাদার বাহিনী যাদের পরাজিত করেছিলাম (মুক্তিযুদ্ধে) সেই পরাজিত শক্তির পদলেহন করেছে।’


তিনি বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা আন্দোলণের ইতিহাস থেকে এর নেতৃত্ব দানকারি বঙ্গবন্ধুর নামটি পর্যন্ত মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

এবারে আমরা স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রম করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। সত্য একদিন না একদিন উদ্ভাসিত হয়। যেটা বাংলাদেশে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এ হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে যে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়, ১৯টি ক্যু হয়েছিল সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা অফিসার এবং সৈনিকদের হত্যা করা হয়, যারা কোন কিছু জানতো না, সে সময় ছুটিতে ছিল, তাদেরকেও হত্যা করা হয়।

সে সময়ে দেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিরাতে কারফিউ, কারো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কোন অধিকার ছিল না, স্বাধীনভাবে চলার পথ ছিল বন্ধ। ’৭৫ এর পরে প্রায় ১০টি বছর কেবল কারফিউ দিয়েই দেশ চালানো হয়েছে।

সে সময় দুর্ণীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে ঋণ খেলাপি এবং কালো টাকার মালিক সৃষ্টি করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা পর্যায়ে কতগুলি দল করার সুযোগ দেয়া হয়। যেখানে মানুষের কথা বলার বা ভোটের কোন অধিকার ছিল না।

তিনি বলেন, ‘মার্শাল ল’ দিয়ে আমাদের সংবিধানকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত বিক্ষত করা হয়। এইভাবেই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী সে সময় স্বৈরশাসনের উচ্ছিষ্ট ভোগী তথাকথিত সুশীল সমাজের কতিপয় প্রতিনিধির সমালোচনা করে বলেন, স্বৈরশাসকদের ডান্ডার ভয়ে এবং নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা স্বৈরশাসকদের অনেক অনৈতিক কাজকে বৈধতা প্রদান করেন। অনেকে গণতন্ত্র রক্ষার নামে এদের সঙ্গে হাতও মিলান।

তিনি বলেন, ‘এই চাটুকারের দলই মিলিটারি শাসকদের পদলেহন করতো। আর তাদের শাসনামলটাকেই তারা খুব ভালভাবে দেখে কারণ স্বাধীনতাবিরোধীরাই তখন ক্ষমতায়, বিচার চলছিল এমন যুদ্ধাপরাধীদেরকেও মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়।’

প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘গণতন্ত্রের বড় বড় কথা বললেও দেশের মানুষ কি পেয়েছিল, দেশের কি উন্নতি হয়েছিল বরং ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরতে হতো। যে সেনাবাহিনীর কাঁধে বন্দুক রেখে ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর জন্যই বা তারা কি করেছে?’

একটি এলিট গ্রুপ সৃষ্টি করে ক্ষমতা কেন্দ্রিক ভোগ বিলাস আর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করাতেই ঐ শ্রেনীর দৃষ্টি ছিল বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে এবং গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

সময় লাগলেও তিনি এবং তার দল বাংলাদেশের জনগণকে অবশেষে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে পেরেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘অনেক প্রজন্ম ভাল ইতিহাস শিক্ষা লাভ করলেও এখন দেশবাসী প্রকৃত ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং ইনশাল্লাহ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন করবো তখন বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো- এটাই হচ্ছে আমাদের প্রতিজ্ঞা। সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সংগঠনকে উন্নত করতে হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই হচ্ছে এক মাত্র সংগঠন যা জাতির সেবা করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই কথাটি মনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করবার আহবান জানাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, রমেশ চন্দ্র সেন, মুহম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠসিক সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন সিরাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এবং আবুল হাসনাত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভাটি সঞ্চালনা করেন। সূত্র: বাসস
আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলতি বছরের শেষে

আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলতি বছরের শেষে

তারিখ চূড়ান্ত না হলেও চলতি বছরের শেষ দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও সভাপতিমণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ৮টি টিম গঠন করা হবে। দলের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ, সভাপতিমণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ৮ বিভাগের জন্য ৮টি টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসব টিম আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কাজ করবে। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে সাংগঠনিক সফরে নেতৃত্ব দেবেন দলের উপদেষ্টাপরিষদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা। এ টিমগুলোই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি গ্রহণে কাজ করবে।

বৈঠকে বনানীর অগ্নিকাণ্ড ও নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় শোক জানানো। উভয় ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
প্রতিহিংসার রাজনীতি নেই বলেই মানুষ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে: তোফায়েল

প্রতিহিংসার রাজনীতি নেই বলেই মানুষ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে: তোফায়েল

২০০১ সালের নির্বাচনের পর আমাদের ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে আমরা তার প্রতিশোধ নিইনি। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। যে কারণে এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সময় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। আগামীতে দেখবেন মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বিএনপি দলটিকে কেউ খুঁজে পাবে না।’

এ সময় তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘ভোলায় নদী ভাঙন বন্ধ হয়েছে। ভোলায় প্রচুর প্রকৃতিক গ্যাস রয়েছে। সে গ্যাসের উপর ভিত্তি করে অনেক কলকারখানা গড়ে উঠবে। ভোলা হবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেলা। আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন ভোলার উন্নয়নে কাজ করে যাবো।’সোমবার দুপুরে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পঞ্চম দিনের মতো তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।ভোলা সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের সকল গ্রাম হবে ডিজিটাল গ্রাম : তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী

বাংলাদেশের সকল গ্রাম হবে ডিজিটাল গ্রাম : তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের সকল গ্রাম হবে ডিজিটাল গ্রাম। এই লক্ষ্যে গ্রামীণ জনপদে তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে যে আমার গ্রাম আমার শহরের কথা বলেছিলেন তা আজ ডিজিটাল গ্রামে রূপান্তর ঘটছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে মানব সম্পদ। সেই সম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমাদের অতীতের সময়ের মধ্যে গত ১০ বছরে আমরা ডিজিটাল যুগে এসে পৌছেছি। এই দেশের অমিত সম্ভাবনাময় যুব শক্তি তথ্য প্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করে দেশকে উন্নত বাংলাদেশের পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ষাট এর দশকে এই উপমহাদেশের মধ্যে সিংড়ার হুলহুলিয়া গ্রামের কম্পিউটার প্রোগ্রামার হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে এই দেশে কম্পিউটারের প্রচলন ঘটে। পরবর্ত্তীতে ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ আইটিএল এর সদস্য পদ লাভ করে এবং বেতবুনিয়াতে স্থাপিত হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে।সিংড়া থানার সার্ধশত বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে শনিবার বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে শোভাযাত্রা উত্তর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে দুই লাখ পুলিশের সদস্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এক হাজার থানাকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন মানুষ পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরী সেবা পাচ্ছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এম জিয়াউল আলম, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডি আই জি এম. খুরশীদ হোসেন, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান, সিংড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। ১৮৬৯ সালের ৩০ মার্চ সিংড়া থানা স্থাপিত হয়। ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সিংড়া থানা পুলিশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন, খুলে দেওয়া হবে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র

ওবায়দুল কাদের দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন, খুলে দেওয়া হবে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র

দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দের। তার সব অর্গান কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে অতি দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’ খুলে দেওয়া হবে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রও।
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সকালে মাউন্ট এলিজাবেথে আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক এর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। তাদের ওপেনিয়ন নিয়ে ডা. আবু নাসের রিজভী আমাদের জানিয়েছেন ওবায়দুল কা‌দেরের সব অর্গান কাজ করছে।
সব ঠিক থাকলে অতি দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

Wednesday, April 18, 2018

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বড়াইগ্রাম উপজেলা ও বনপাড়া শহর আওয়ামী লীগ এ জনসভার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বড়াইগ্রাম উপজেলা ও বনপাড়া শহর আওয়ামী লীগ এ জনসভার



মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এ জনসভা থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ আসনে আবারও বর্তমান সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তোলা হয়।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বড়াইগ্রাম উপজেলা ও বনপাড়া শহর আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।
জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাটোর-২ সদর আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনের সাংসদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ,  নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পিপি সিরাজুল ইসলাম, শাহজাহান কবির, গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি।
এ সময় বক্তারা বলেন, মেয়র শাহনেওয়াজ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করছে।সাংসদ কুদ্দুস নাটোর-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ওই আসনে আবারো সাংসদ কুদ্দুসকেই দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে।
সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস তার বক্তব্যে বলেন, দলের নেতা-কর্মীরাই আমাকে ভোট দিয়ে জেলা সভাপতি করেছেন। সভাপতি ও সরকার দলীয় সাংসদ হিসেবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সংগঠন চালাচ্ছি। কিন্তু দলের কতিপয় নেতারা নির্বাচনকে ঘিরে বিষোদগারে নেমেছেন।

Thursday, April 5, 2018

মানুষের সেবা করতে চান ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন

মানুষের সেবা করতে চান ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন

মানুষের সেবা করতে চান ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাম  আনোয়ার হোসেন। তৃনমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এ ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা ইতি মধ্যে গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেছেন। ব্যক্তি হিসাবে তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। আর তা হলো তিনি বর্তমানে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।
দলের তৃনমূল নেতাকর্মিদের ভোটে তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তার মাঝে নেই অহংকারবোধ। দলের নেতাকর্মি সবার সাথে রয়েছে তার সুনিবিড় সম্পর্ক। গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগের প্রিয় এ মানুষটি যখনই কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মির কোনো সমস্যার কথা শুনতে পান তখনই ছুটে যান সমস্যার মুখোমুখি ছাত্রলীগের পাশে, প্রচেষ্টা চালান সমস্যা সমাধানের।  নিজের স্বভাবসুলভ আচরণে সবাইকে আপন করে নেয়া আনোয়ার হোসেনকে নিজেদের অন্তরের গহীনে ধরে রেখেছেন কৃতজ্ঞ ছাত্রলীগ। আর এর যতেষ্ঠ প্রমাণও পাওয়া যায় বিগত দুই বার ছাত্রলীগের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত করে।  
ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন এই প্রতিনিধির সাথে। খোলামেলা কথা বলেন, গুরুদাসপুর ছাত্রলীগের সমস্যা-সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়সহ তার নিজের  বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়েও। কথোকপনের শুরুতেই ছাত্রলীগের এই নেতা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।  তিনি আরও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুসের পাশাপাশি বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগের সহসভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির প্রতিও।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আসছি। স্বপ্ন দেখেিেছ তার গড়া রাজনৈতিক দলের একজন আদর্শ কর্মী হওয়ার। তাই তো ছাত্রজীবনেই যোগদেই দেশের বৃহৎ ছাত্রলীগে। আগে থেকেই প্রিয় সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছি।  তিনি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে,কিন্তু নিজে কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। এগিয়ে চলেছি সব প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে। আর আমার কর্মের ফলও পেয়েছি প্রিয় সংগঠন থেকে। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই।  পরে কাজের সফলতায় আমাকে গত ৭-২-১৮ ইং তারিখে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ছাত্রলীগের এই নেতা বর্তমানে গুরুদাসপুর সরকারী জোহা কলেজের ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে দলের নেতাকর্মিদের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি, তেমনি প্রিয় সংগঠন গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে উপজেলাবাসির স্নেহ-ভালোবাসায় ধন্য হয়েছি আমি। তাদের প্রেরনাই আমি এগিয়ে চলেছি নিরন্তর। প্রচেষ্টা চালিয়েছি ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার।  
নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক আখ্যায়িত করে আনোয়ার হোসেন বলেন, জীবনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করেছি। সারাজীবন সে আর্দশ লালন পালন করে গুরুদাসপুরের ছাত্রলীগকে মডেল ছাত্রলীগ হিসাবে রূপ দিয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। 

Thursday, January 4, 2018

নাটোর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া উপজেলা,পৌর,কলেজ ও সকল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অায়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নাটোর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া উপজেলা,পৌর,কলেজ ও সকল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অায়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন












বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নাটোর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া উপজেলা,পৌর,কলেজ ও সকল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অায়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয় এবং নানা কর্মসুচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।


নাটোরে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

নাটোরে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

সাকলাইন শুভ, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও পথসভার মধ্য দিয়ে নাটোরে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহরের কান্দিভিটুয়াস্থ জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  পরে জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। 
নাটোর জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নাটোর-৪ অাসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অালহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ অাব্দুল কুদ্দুস এমপির নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কানাইখালী বাসস্ট্যান্ডের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  সেখানে কেক কাটা ও পথসভা সভার আয়োজন করা হয়। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৪ অাসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অালহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (এমপি), নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস,জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম, জেলা অাওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাটোর জর্জ কোর্টের পিপি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন- সম্পাদক সৈয়দ মোর্তুজা আলী বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাকিব বাকী সহ প্রমুখ। 

Wednesday, January 3, 2018

গুরুদাসপুরে দুইটি গ্রামীণ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

গুরুদাসপুরে দুইটি গ্রামীণ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন



প্রভাষক মো. মাজেম আলী ও এম, এ, মুনসুর (বিশেষ প্রতিনিধি)
তিন কিলোমিটারের পৃথক দুইটি গ্রামিণ সড়কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের খাকড়াদহ ও ধারাবারিষা পাকা সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন ঘোষনা করেন স্থানীয় সাংসদ জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ¦ অধ্যপক আব্দুল কুদ্দুস।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারাবারিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ওই জন সভার আয়োজন করে। এতে সভাপত্বি করেন, ধারাবারিষা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী বিশ্বাস। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা আ.লীগের তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. আনোয়োর হোসেন, পৌর আ.লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন আহম্মেদ, প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ মুনসুর রহমান মিন্টু প্রমূখ।