সাকিবের জেমকন খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আশরাফুলের মিনিস্টার রাজশাহী।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো অর্ধশতকের ওপর ভর করে খুলনার দেয়া ১৪৬ রানকে সহজেই টপকে যায় রাজশাহী।
ব্যাট করতে নেমে মিনিস্টার রাজশাহী দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুরু থেকেই রানের ঝড় তুলতে থাকেন।
অপর পাশে থাকা আনিসুল ইসলাম ইমন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আল আমিনের বলে মাত্র ২ রানেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৫ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
তবে ওয়ানডাউনে নামা রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকে এগুতে থাকে রাজশাহী। ৯ ওভারের মাথায় রিশাদ হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রনির ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
তার কিছুক্ষণ পরই রিশাদ হোসেনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। ৬টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার এই ইনিংস।
অধিনায়কের বিদায়ের পর মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ ধীর গতিতে রান তুলতে থাকেন। ২২ বল খেলে আশরাফুল করেন অপরাজিত ২৫ রান।
অপর পাশে ১৬ বল খেলে ২৪ রান করা মাহমুদ আউট হলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান দলকে জয় উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এরআগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৪ রানের মাথায় শূন্য রানেই মাঠ ছাড়েন ইমরুল কায়েস।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফেরা সাকিব আল হাসান আজও দলের জন্য সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে মাত্র ১২ রান করে তিনিও মাঠ ছাড়েন।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জহুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ৭ ও ১ রানে মাঠ ছাড়লে অনেকটাই ধাক্কা খায় খুলনা।
আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক আরিফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন দলকে টেনে নিতে থাকেন।
আরিফুল ৩১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেও ২৫ বলে ৩৫ রান করে এবাদতের বলে আউট হন শামীম।
৩ চারে ১২ বলে ১৭ রান করা শহীদুলের সুবাধে খুলনার দলীয় রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৬ রান।