Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts
Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts

Friday, November 27, 2020

খুলনাকে বড় ব্যবধানেই হারালো রাজশাহী

খুলনাকে বড় ব্যবধানেই হারালো রাজশাহী




সাকিবের জেমকন খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আশরাফুলের মিনিস্টার রাজশাহী। 

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো অর্ধশতকের ওপর ভর করে খুলনার দেয়া ১৪৬ রানকে সহজেই টপকে যায় রাজশাহী।

ব্যাট করতে নেমে মিনিস্টার রাজশাহী দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুরু থেকেই রানের ঝড় তুলতে থাকেন। 

অপর পাশে থাকা আনিসুল ইসলাম ইমন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আল আমিনের বলে মাত্র ২ রানেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৫ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

তবে ওয়ানডাউনে নামা রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকে এগুতে থাকে রাজশাহী। ৯ ওভারের মাথায় রিশাদ হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রনির ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। 

তার কিছুক্ষণ পরই রিশাদ হোসেনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকে। 

মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। ৬টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার এই ইনিংস।

অধিনায়কের বিদায়ের পর মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ ধীর গতিতে রান তুলতে থাকেন। ২২ বল খেলে আশরাফুল করেন অপরাজিত ২৫ রান। 

অপর পাশে ১৬ বল খেলে ২৪ রান করা মাহমুদ আউট হলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান দলকে জয় উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এরআগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৪ রানের মাথায় শূন্য রানেই মাঠ ছাড়েন ইমরুল কায়েস। 

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফেরা সাকিব আল হাসান আজও দলের জন্য সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে মাত্র ১২ রান করে তিনিও মাঠ ছাড়েন। 

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জহুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত ৭ ও ১ রানে মাঠ ছাড়লে অনেকটাই ধাক্কা খায় খুলনা।

আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক আরিফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন দলকে টেনে নিতে থাকেন। 

আরিফুল ৩১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেও ২৫ বলে ৩৫ রান করে এবাদতের বলে আউট হন শামীম। 

৩ চারে ১২ বলে ১৭ রান করা শহীদুলের সুবাধে খুলনার দলীয় রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৬ রান।

Wednesday, October 2, 2019

ক্রিকেটার তাইজুলকে ২শ টাকা জরিমানা

ক্রিকেটার তাইজুলকে ২শ টাকা জরিমানা

হেলমেট ব্যবহার না করায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাইজুল ইসলামকে দুইশ’ টাকা জরিমানা করেছে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার পুলিশ।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে নলডাঙ্গা থানার মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট চলছিল। এসময় ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে নাটোর শহরে থেকে নলডাঙ্গা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি হেলমেট না ব্যবহার করায় দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তাইজুল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, হেলমেট বাড়িতে রেখে বিকেলে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। এ অবস্থায় চেকপোস্টে পৌঁছালে তাকে দুইশ' টাকা জরিমানা করা হয়।
রেজাউল করিম রেজা/এমএএস/পিআর
বড় বিপদ গেল ইমরুল কায়েসের

বড় বিপদ গেল ইমরুল কায়েসের



মাঝে দেড় মাসে ক্রিকেট থেকে একেবারেই দূরে সরে গিয়েছিলেন ইমরুল। কী হয়েছিল তাঁর? বাঁ হাতি ওপেনার জানালেন, কঠিন সময়ে গেছে তাঁর
ইমরুল কায়েসের সুযোগ এসেছিল গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকার। কিন্তু বাঁ হাতি ওপেনারের উপায় ছিল না সুযোগটা লুফে নেওয়ার। ইমরুল তখন তাঁর এক বছরের শিশুপুত্র শোয়াইবকে নিয়ে ছোটাছুটি করছেন হাসপাতালে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে শুরু হওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ছিলেন ইমরুল। এক দিন অনুশীলন করার পরই জানলেন, ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে। অসুস্থ শিশুপুত্রের চিন্তায় তাঁর থাকা হয়নি আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট দলে। সপ্তাহখানেকের চিকিৎসা শেষে ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার স্বস্তি যখন মনে, ইমরুল তখন জানতে পারলেন ছেলে আরও একটি রোগে আক্রান্ত। এই রোগ না সারতেই শরীরে বাসা বাঁধল আরও একটি। কিসের রোগ, কী ধরনের রোগ, বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা নাকি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তাঁকে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে ইমরুল ছুটলেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে মাসখানেকের চিকিৎসা শেষে তাঁর ছেলে এখন বেশ সুস্থ।
ছেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে, ইমরুলের কাছে এটাই আপাতত বড় সুখবর, ‘প্রথমবার সিঙ্গাপুর থেকে আসার পর ভালো হয়ে গেলেও আবার সমস্যা শুরু হয়েছিল। আবার যেতে হলো। এবার চিকিৎসকেরা বলছেন, আশা করি আর হবে না। সে অনুযায়ী ওষুধ দিয়েছে। শুরুতে ডেঙ্গু হয়েছিল। ডেঙ্গু থেকে আরও দুটো রোগ হয়। আমাদের উপমহাদেশে সাধারণত এ ধরনের রোগ হয় না। মালয়েশিয়ার দিকে বেশি হয়। এ কারণেই বাংলাদেশে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারছিল না কী রোগ হয়েছে বাচ্চাটার।’
ছেলের চিন্তায় এ কদিনে বেশ শুকিয়ে গেছেন ইমরুল। শরীরের ওজন কমেছে প্রায় পাঁচ কেজি। গত দেড় মাস কতটা ঝড় গেছে তাঁর ওপর দিয়ে, সেটিই আজ বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন তিনি, ‘মানসিকভাবে ঠিক না থাকলে আসলে শারীরিকভাবে ফিট থাকা যায় না। যার ওপর দিয়ে যায় সে এটা ভালো বোঝে।’
গত নিউজিল্যান্ড সফরের দলে ছিলেন না ইমরুল। সুযোগ মেলেনি পরের সফরগুলোতেও। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে যাও-বা সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, ভাগ্যের কাছে হেরে সেটি মিলিয়ে গেল হাওয়ায়। ক্রিকেট থেকে কটা দিন একেবারেই দূরে সরে গিয়েছিলেন। বাঁ হাতি ওপেনার জানালেন, জাতীয় দলে ফেরার তাড়নায় আবারও তৈরি হচ্ছেন তিনি, ‘আশা নিয়েই সবাই সামনে এগিয়ে যায়। আমিও সেই আশা নিয়েই অপেক্ষায় আছি (আবারও সুযোগ পাবেন বাংলাদেশ দলে)। যদি সামনে সুযোগ আসে, অবশ্যই সুযোগ কাজে লাগাতে চেষ্টা করব। মাঝে একটা সুযোগ আসছিল, দুর্ভাগ্য আমার ছেলের অসুস্থতার কারণে খেলতে পারলাম না। তবে সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। সামনে যদি আবার সুযোগ আসে অবশ্যই চেষ্টা করব শতভাগ দেওয়ার।’
বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাবেন কিনা, সেটি পরে। আপাতত ইমরুলের লক্ষ্য, রাঙাতে হবে জাতীয় লিগ।
খেলাফুটবল খেলা সংবাদ জামাল ভূঁইয়ার দামের সমান ২০ ভুটানি ফুটবলার

খেলাফুটবল খেলা সংবাদ জামাল ভূঁইয়ার দামের সমান ২০ ভুটানি ফুটবলার



‘বলেন কি ৫৫ লাখ ভুটানিজ রুপি (বাংলাদেশি ৬৬ লাখ টাকা) !’
হোটেল রুমে অবাক হয়ে অর্থের অঙ্কটি কয়েকবার জিজ্ঞাসা করলেন ভুটান জাতীয় দলের ফুটবলার লেনডুপ দর্জি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এক মৌসুমে ৬৬ লাখ টাকা বা ভুটানিজ ৫৫ লাখ রুপি পান, তা প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না ভুটানিজ এই ফুটবলারের। পরে নিজেই অঙ্ক কষে বললেন, তাহলে তো আমাদের ২০ ফুটবলারের চেয়ে জামালের একার দামই বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে এসেছে ভুটান। ভারতে খেলা অধিনায়ক চেনচো গেইলশেনকে বাদ দিলে বাকি ২০ জনের মোট আয় বাংলাদেশের এক জামালের চেয়েও অনেক কম।শুধু সাইফ স্পোর্টিংয়ের জামাল নয়, বসুন্ধরা কিংসের মিডফিল্ডার ইমন বাবুসহ বাংলাদেশের কয়েকজন ফুটবলারের সম্মানী কমবেশি ৬০ লাখ টাকা। এ তথ্যে ভুটান দলের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড়ের কণ্ঠে চরম বিস্ময়, ‘আমি শুনেছি বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক অর্থ। তাই বলে এত। এটা কীভাবে সম্ভব!’
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে ভুটান। কিন্তু এ মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আছে তারা। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭, ভুটানের ১৮৫। ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপের প্রাক বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছিল তারা। কিন্তু ভুটানে ফুটবলটা এখনো পেশাদারি চেহারা নেয়নি। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই অন্য পেশায় নিয়োজিত। তাদের নিয়মিত অধিনায়ক কারমা শেরিপ তো একজন বৈমানিক। ফ্লাইট থাকায় দলের সঙ্গে আসতেই পারেননি ঢাকায়।
অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ফুটবলে পরিচিত মুখ ভুটানিজ রোনালদো খ্যাত চেনচো গেইলশেন। চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলা এই ফরোয়ার্ড শেষ দুই মৌসুমে খেলেছেন ভারতের আই লিগ ও আইএসএলে। বাংলাদেশের যে কোন ফুটবলারের চেয়ে তাঁর আয় বেশি। কিন্তু দলের বাকি খেলোয়াড়দের আয় খুবই শোচনীয়। বর্তমান দলে চেনচো ছাড়া দেশের বাইরে লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল লেনডুপের। শেষ মৌসুমে ভারতের আই লিগের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব লোন স্টার কাশ্মীরে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। ক্লাবটিতে নিয়মিত একাদশে খেললেও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় আবার ফিরে গিয়েছেন ভুটানে। শেষ খেলেছেন হাই কোয়ালিটি ইউনাইটেডে। ভুটানের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ধারী ফুটবলার তিনি।
এক মৌসুমে বাংলাদেশি টাকায় কত পান জানেন? বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। মাসিক ৬০ হাজার রুপিতে কোয়ালিটির সঙ্গে ৬ মাসের চুক্তি লেনডুপের। সে হিসেবে মৌসুমে ৩ লাখ ৬০ হাজির রুপি। লেনডুপ ৬ মাসে যা পান, জামাল এক মাসে আয় করেন তার চেয়ে অনেক বেশি। জামাল-সাইফের চুক্তিটা ফুটবল-বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো মাসিক চুক্তিতে। ক্লাব সূত্র জানিয়েছে, সাইফ থেকে মাসিক সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাবেন জামাল। সে হিসাবে এক বছরে তাঁর বেতন দাঁড়াবে ৬৬ লাখ টাকা। চুক্তিটি এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলে নিশ্চিত করেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী। 
রইল বাকি ১৯। লেনডুপের ভাষ্য মতে গড়ে বাকিরা গড়ে ২০ হাজার রুপি করে পেয়ে থাকেন। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের চুক্তি ৬ মাসের। নামকাওয়াস্তে অর্থের জন্য পৃষ্ঠপোষকের অভাবকে দায়ী করলেন লিনডুপ, ‘আমাদের ফুটবল এখনো পেশাদারি পর্যায়ে যায়নি। পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আছে। তবে ধীরে ধীরে আর্থিক কাঠামো বাড়ছে।
জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক কারমা শেরিপ তো ঘরোয়া লিগে যে একপ্রকার বিনে পয়সাতেই খেলেন! থিম্পু সিটিতে খেলে উল্টো টাকা দিতে হয় তাঁকে। দলটা চালান তাঁর চাচা। পারিবারিক ক্লাব বলেই এর পেছনে কিছু অর্থ খরচ হয় তাঁর। শেরিং আসলে পুরোদস্তুর পেশাদার ফুটবলার নন। তাঁর জীবিকা আসে উড়োজাহাজ চালিয়ে। ভুটানের জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা ‘ড্রুক এয়ারে’র একজন বৈমানিক তিনি। আয়রোজগার ভালোই করেন। অবসর সময়ে খেলেন। নিজের ক্লাব থিম্পু সিটির জুনিয়র খেলোয়াড়দের খরচটা তিনিই বহন করে এর আগে প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ‘এই ক্লাবটা আমার চাচা চালান। বেশ কষ্টে চালান তিনি। সেখান থেকে টাকা নিই কীভাবে বলুন। আমি বরং দলের জুনিয়র খেলোয়াড়দের খরচটা বহন করে চাচার ওপর থেকে আর্থিক চাপটা কমাই।’

Monday, May 20, 2019

সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার

সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার

১০টি টেস্ট ভারতের হয়ে খেলেছেন আকাশ চোপড়া। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর নাম লেখান ধারাভাষ্যে আর ক্রিকেট বিশ্লেষণে।
ক্রিকেট ক্যারিয়ার তাঁকে খুব বড় তারকা বানাতে পারেনি। কিন্তু বিশ্লেষক হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই বেশ নাম করেছেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর আগে দলগুলোর সম্ভাবনা নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে বিশেষজ্ঞ-মতামত দিয়েছেন চোপড়া।
বাংলাদেশ দল নিয়ে তাঁর মন্তব্য, এশিয়ায় ভারতের পর দাপুটে দল হিসেবে লোকে এখন পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশকেই মনে করে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে চোপড়ার ভবিষ্যৎবাণী, বাংলাদেশ নকআউট পর্বে উঠবে মানে সেমিফাইনাল খেলবে।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভিডিও বিশ্লেষণে চোপড়া বাংলাদেশ দলের পাল্টে যাওয়ার পটভূমি টানেন এভাবে, ‘২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও নকআউট পর্বে খেলেছে।
আর এশিয়া কাপে তো ফাইনালেই খেলেছে। এই দলকে হালকাভাবে নিলে মস্ত ভুল হবে। বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলে, এবারও ভালো খেলবে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে চোপড়ার উক্তি, ‘বিশ্বকাপে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে শুরুতে ৯ ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ। এ বাধা টপকে নকআউট পর্বে উঠবে দলটি।’ চোপড়া বাংলাদেশকে শিরোপাজয়ে ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না, তবে দলটি যে নকআউট পর্বে উঠবে তা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ৪১ বছর বয়সী সাবেক এ ব্যাটসম্যান।
এবার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে সব দল একে-অপরের বিপক্ষে খেলবে। এখান থেকে সেরা চার দল উঠবে সেমিফাইনালে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চোপড়া। তামিম ইকবালকে অনেক বড় মাপের ব্যাটসম্যান হিসেবে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া টপ অর্ডারে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের প্রশংসা করেও চোপড়া বলেন, ‘লিটন দাস এশিয়া কাপের ফাইনালে দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন।
সৌম্য ওপরেও ব্যাট করতে পারেন, নিচেও পারেন সঙ্গে বোলিংও। দলে বৈচিত্র্য আনতে পারে সৌম্য।’ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার বেশ শক্তিশালী বলে মনে করেন চোপড়া।
তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তাঁর একটি পর্যবেক্ষণ আছে। তাঁকে উঁচু মাপের ব্যাটসম্যান বলেই মনে করেন তিনি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে বাংলাদেশ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে না, এমনটাই মনে করেন চোপড়া। গত বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর টানা দুই সেঞ্চুরির উদাহরণ টেনে চোপড়া বলেন, ‘তাঁকে বেশি ওভার (ব্যাটিংয়ে) দিতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ তাঁকে এ সুযোগটা দেয় না। ব্যাটিংয়ে তাঁকে আরও ওপরে তোলা উচিত বলে মনে করি।’
মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি মেহেদী হাসান মিরাজকেও বেশ পছন্দ চোপড়ার। এই স্পিন অলরাউন্ডারকে ‘দ্বিমাত্রিক’ খেলোয়াড় হিসেবে মনে করেন তিনি। যে খুব ভালো অ্যাকশনে বল করার সঙ্গে ব্যাটিংও পারে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে বিশ্বকাপের দারুণ প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বকাপে মাশরাফির দলের সম্ভাবনা নিয়ে চোপড়া সোজাসাপ্টাই বলেন, ‘দলটা চার নম্বরে উঠে আসতে পারে।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড—আমার চোখে তিন সেরা দল। চতুর্থ হওয়ার দৌড়ে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। নতুন বল সামলাতে পারলে বাংলাদেশ যে কোনো দলের জন্য ভয়ের কারণ।’