Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

Friday, November 27, 2020

২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত

২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত






আগামী মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে ভারত। তবে করোনা মহামারীর কারণে নৌপথে আনতে হবে চেন্নাই থেকে- এমনটাই জানিয়েছেন নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

আর তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যা সমাধানে চলতি বছরই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ঢাকা দিল্লি বিশেষ বিমান পরিবহন চলতি মাসেই চালু হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গত বছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরে পূর্বঘোষণা ছাড়া পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। সম্প্রতি আবার ভারত রফতানি চালু করলেও তা শুধু চেন্নাই বন্দর দিয়ে।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, শিপমেন্ট একটা বড় ইস্যু। করোনার কারণে আমাদের অনেক স্থলবন্দর এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই চেন্নাই সমুদ্র বন্দর দিয়ে এ পেঁয়াজ নিতে হবে। কারণ পেঁয়াজ ওই এলাকার। আমরা দুই জাতের ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তার পানিবণ্টন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। দুই দেশের পানি সচিব দ্রুতই বৈঠকে বসবেন এ ইস্যুতে। এক দশক বন্ধ থাকা যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত।

করোনার কারণে ৭-৮ মাস বন্ধ ভারতের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ। সেটি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। এবার বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে ভারত যেতে ইচ্ছুকদের জন্যও সুবিধা বাড়াচ্ছে দেশটি।

Tuesday, July 7, 2020

ভুটানের সাকতেং অরণ্যের ওপরেও এবার চীনের দাবি, দিল্লিকে আরও চাপে ফেলাই লক্ষ্য?

ভুটানের সাকতেং অরণ্যের ওপরেও এবার চীনের দাবি, দিল্লিকে আরও চাপে ফেলাই লক্ষ্য?



লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধের পটভূমিতেই চীন এবার প্রতিবেশী ভুটানের পূর্বাঞ্চলে একটি বিস্তীর্ণ অংশের ওপরও নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে।
পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, মূলত দিল্লির ওপর আরও চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেই ভুটানের ওই সাকতেং অভয়ারণ্যকে চীন নিজেদের বলে দাবি করছে- কারণ ভুটানের অখণ্ডতা রক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্য ভারত অঙ্গীকারাবদ্ধ।
চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভুটান দিল্লিতে তাদের দূতাবাস মারফত চীনের কাছে একটি ডিমার্শ বা কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্রও পাঠিয়েছে।
ভুটানের পূর্বদিকে ত্রাশিগিং জেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় প্রায় সাড়ে ছশো বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি অভয়ারণ্যের নাম সাকতেং – যা বহু বিরল বন্য পশুপাখির আবাসভূমি।
মাসখানেক আগে এই বনভূমির উন্নয়নে একটি প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে 'গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি' বা জিইএফ একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন বৈঠকের আয়োজন করেছিল – সেখানেই চীন প্রথম দাবি করে সাকতেং তাদের।
বিশ্ব ব্যাঙ্কে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধি অপর্ণা সুব্রামনি ওই বৈঠকে ভারত-ভুটান-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি চীনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সম্প্রতি ওই অনলাইন বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী সামনে আসার পরই বোঝা যায় যে ভুটানের সাকতেং-কেও চীন এখন বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলের মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে।
এরপর এ সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের 'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকাকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাকতেং-য়ের ওপর তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেছে 'কোনও তৃতীয় পক্ষ যেন এখানে নাক না-গলায়'!
কেন সাকতেং-য়ের ওপর চীনের এই দাবি?
থিম্পুতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইন্দর পাল খোসলা বলছিলেন, আমার মতে চীন এখন পুরোপুরি একটা সম্প্রসারণবাদী দেশের মতো আচরণ করছে।
তারা ভুটানের এমন একটা জায়গা দাবি করে বসেছে যেটা নিয়ে আগে কখনও বিতর্ক ছিল না, ওই দুই দেশের মধ্যে চব্বিশ রাউন্ড সীমান্ত বৈঠক হলেও সাকতেং কিন্তু কখনও আলোচনার টেবিলেই ওঠেনি। এখন তো দেখছি তারা কোনও সীমান্ত সমঝোতারই ধার ধারছে না, এমন কী রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত দাবি করছে। আমরা শুধু আশা করতে পারি, চীনের এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট বেশিদিন চলবে না এবং তারা এই সব বন্ধ করবে।
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-তে চীন বিশেষজ্ঞ এম টেলর ফ্র্যাভেল জানাচ্ছেন, চীনের এই দাবির পেছনে আছে ১৭১৫ সালে তিব্বত ও ভুটানের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তি।
ওই চুক্তিতে না কি সাকতেং-য়ের ওপর তিব্বতের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়া হলেও ভুটানের মেষপালকদের ওই তৃণভূমিতে গরু-ভেড়া চরানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
১৯৪৯ থেকে সাকতেং ভুটানের অংশ – কিন্তু এখন চীন বলছে যেহেতু তিব্বত তাদের, সুতরাং সাকতেংয়ের ওপরও তাদের অধিকার বর্তায়।
সাকতেং কি স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
দিল্লিতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ডিপ্লোম্যাটিক এডিটর ইন্দ্রাণী বাগচীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এই অভয়ারণ্যের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কোথায় যে চীন এটি কব্জা করতে চাইছে?
তিনি বলছিলেন, ওই অঞ্চলের মানচিত্রটা দেখলেই বুঝবেন ওই সাকতেং হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশের যে সেলা পাসে '৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধ হয়েছিল তার ঠিক উত্তর দিকের এলাকা।
"চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল গোটা অরুণাচল প্রদেশটাকেই কব্জা করে নেওয়া, ফলে এটা সেই পরিকল্পনার একটা অংশ হতেই পারে। "
"দ্বিতীয়ত, বিশেষ করে এই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ চীন দেখতে পাচ্ছে লাদাখ বা কালাপানি নিয়ে ভারত আগে থেকেই চাপে আছে – ফলে দিল্লির ওপর রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোও একটা উদ্দেশ্য হতে পারে। "
"তৃতীয়ত, চীন ভুটানের ওপর এই চাপটা এমন একটা মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় যাতে ভুটান ভারতকে বলতে বাধ্য হয় যে আমরা চীনের সঙ্গে আলাদাভাবে বিষয়টা নিয়ে বোঝাপড়া করে নিচ্ছি!", বলছিলেন ইন্দ্রাণী বাগচী।
চীনের আসল নিশানা কি তাহলে ভারত?
বস্তুত ভারতের প্রভাব বলয় থেকে ভুটানকে যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চীনের দীর্ঘদিনের।
তবে তিন বছর আগে ডোকলাম সঙ্কটের সময় যেভাবে ভারতীয় সেনারা ভুটানের হয়ে চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল, চীনকে সেটা বেশ অবাকই করেছিল।
তারপরেও অবশ্য ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে গেছে চীন, থিম্পুতে তারা দূতাবাসও খুলতে চেয়েছে বার বার।
ইন্দ্রাণী বাগচী জানাচ্ছেন, "কূটনৈতিক সম্পর্ককে আপগ্রেড করে থিম্পুতে চীন তাদের নিজস্ব দূতাবাস খুলতে চাইছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু ভুটানের রাজাদেরই তাতে আপত্তি ছিল। "
"আসলে এটা কিন্তু শুধু চীন নয়, বেশিরভাগ দেশেরই থিম্পুতে কোনও দূতাবাস নেই – দিল্লিতে সেই সব দেশের রাষ্ট্রদূতরাই ভুটান-টা কভার করে থাকেন। এটা আমেরিকা বা জাপানের ক্ষেত্রেও সত্যি। "
"তারপরও চীন বারবার ভুটানে নিজেদের দূতাবাস চেয়েছে। কিন্তু ভুটানের রাজা, যাকে সে দেশের লোক 'কে-ফোর' বা 'দ্য কিং ফোর' বলে ডাকেন, তিনি ও তাঁর পূর্বসূরী কে-থ্রি মিলে অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটার কোনও দরকার নেই। ''
সাকতেং-য়ের ওপর চীনের দাবিকে নস্যাৎ করে ভুটানের যে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র বা ডিমার্শ, সেটাও পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে চীনের দূতাবাসেই।
আর ভারত মনে করছে, লাদাখের গালওয়ান বা প্যাংগং লেকে চীনের সঙ্গে এবং কালাপানিতে নেপালের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ তো আছেই – এখন সাকতেং-এও ভুটানের বকলমে আসলে ভারতের সঙ্গেই চীন বিরোধের নতুন একটি ফ্রন্ট খুলতে চাইছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Wednesday, October 2, 2019

উন্নয়ন ধ্বংসের উইপোকা দমনে কঠোর প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন ধ্বংসের উইপোকা দমনে কঠোর প্রধানমন্ত্রী



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ উইপোকায় ধ্বংস করা থেকে রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার দেশের প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর মাধ্যমে দেশীয় সব টেলিভিশন চ্যানেলের বাণিজ্যিক ট্রান্সমিশনের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলতি বাজেটে ১৭৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ উইপোকারা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকালে অর্থ লুটে নিচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের প্রতিটি পয়সার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য আমাদের ওই সব উইপোকাকে আটক করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখব। এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে দল–পরিবারনির্বিশেষে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমি দেশের দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।’প্রধানমন্ত্রী কোনো ধরনের প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার না করার জন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অপপ্রচারগুলো সরকারের বিরোধিতার নামে মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে আরেকটি আবেদন রাখতে চাই। আপনারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরুন, যাতে করে দেশবাসীর মনে সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হয় এবং তারাও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে।

Monday, May 20, 2019

স্বাস্থ্য থেকে তথ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

স্বাস্থ্য থেকে তথ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে। আজ রোববার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্বিন্যাস করে এই বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব আর তাঁর হাতে থাকল না। ওই বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আলম পলক এখন এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের দায়িত্বও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি এখন শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। আর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার দায়িত্বে এই প্রথম পরিবর্তন আসল।

Monday, April 1, 2019

গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোর মিছিল

গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোর মিছিল



গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ভয়াল ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবসের কালোরাত স্বরনে চাঁচকৈড় বাজারে প্রদর্শিত হলো আলোর মিছিল। মিছিলটি সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার পাট হাটা ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপজেলা চত্তরের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনার পাদদেশে শহীদদের স্বরণে নিরবতা পালন,আলোচনাসভা,মিলাদ ও দোয়া,বাংলাদেশের অঙ্কিত মানচিত্রে মোমবাতি প্রজ্জলিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন। আলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশিষ কবির সুবাস। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব,এমপি পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন,জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হকসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। অয়োজক ছাত্রলীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন ও সুবাশিষ কবির সুবাস জানান,২৫ মার্চ বাঙ্গালী জাতীর জীবনে কালো রাত,কালো অধ্যায়। প্রজ্জলিত আলো দিয়ে কালো আঁধার দুর করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতীতে গিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আলোর মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে আমরা ২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙ্গালীর বুকে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞকে স্বরন করেছি। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ২৫ মার্চে শাহাদৎ বরনকারী শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও ১৫ আগষ্ট জাতীর জনক শেখ মুজিবসহ সকলের আত্মার শান্তি কামনা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।