গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাম আনোয়ার হোসেন। তৃনমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এ ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা ইতি মধ্যে গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেছেন। ব্যক্তি হিসাবে তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। আর তা হলো তিনি বর্তমানে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।
দলের তৃনমূল নেতাকর্মিদের ভোটে তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তার মাঝে নেই অহংকারবোধ। দলের নেতাকর্মি সবার সাথে রয়েছে তার সুনিবিড় সম্পর্ক। গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগের প্রিয় এ মানুষটি যখনই কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মির কোনো সমস্যার কথা শুনতে পান তখনই ছুটে যান সমস্যার মুখোমুখি ছাত্রলীগের পাশে, প্রচেষ্টা চালান সমস্যা সমাধানের। নিজের স্বভাবসুলভ আচরণে সবাইকে আপন করে নেয়া আনোয়ার হোসেনকে নিজেদের অন্তরের গহীনে ধরে রেখেছেন কৃতজ্ঞ ছাত্রলীগ। আর এর যতেষ্ঠ প্রমাণও পাওয়া যায় বিগত দুই বার ছাত্রলীগের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত করে।
ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন এই প্রতিনিধির সাথে। খোলামেলা কথা বলেন, গুরুদাসপুর ছাত্রলীগের সমস্যা-সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়সহ তার নিজের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নিয়েও। কথোকপনের শুরুতেই ছাত্রলীগের এই নেতা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তিনি আরও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুসের পাশাপাশি বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগের সহসভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির প্রতিও।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আসছি। স্বপ্ন দেখেিেছ তার গড়া রাজনৈতিক দলের একজন আদর্শ কর্মী হওয়ার। তাই তো ছাত্রজীবনেই যোগদেই দেশের বৃহৎ ছাত্রলীগে। আগে থেকেই প্রিয় সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে,কিন্তু নিজে কখনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। এগিয়ে চলেছি সব প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে। আর আমার কর্মের ফলও পেয়েছি প্রিয় সংগঠন থেকে। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরে কাজের সফলতায় আমাকে গত ৭-২-১৮ ইং তারিখে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ছাত্রলীগের এই নেতা বর্তমানে গুরুদাসপুর সরকারী জোহা কলেজের ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করতে গিয়ে দলের নেতাকর্মিদের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি, তেমনি প্রিয় সংগঠন গুরুদাসপুর পৌর ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে উপজেলাবাসির স্নেহ-ভালোবাসায় ধন্য হয়েছি আমি। তাদের প্রেরনাই আমি এগিয়ে চলেছি নিরন্তর। প্রচেষ্টা চালিয়েছি ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার।
নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক আখ্যায়িত করে আনোয়ার হোসেন বলেন, জীবনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করেছি। সারাজীবন সে আর্দশ লালন পালন করে গুরুদাসপুরের ছাত্রলীগকে মডেল ছাত্রলীগ হিসাবে রূপ দিয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।
0 comments: