চালক বোরহান উদ্দিন কুমরুল গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বাজার থেকে কেনা চাল পৌঁছে দিতে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা গৃহবধূকে (৩২) একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঐ গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে বোরহান দ্রুত ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের জানালে তারা থানায় যেতে নিষেধ করে গত মঙ্গলবার রাতে কুমরুল গ্রামের শ্রী লালুবাবুর বাড়িতে মিমাংসা বৈঠকে বসেন। সেখানে হিন্দু ধর্মীয় প্রধান বাবলু কুমারসহ গ্রাম প্রধান তাজেম উদ্দিন মোল্লা, টিপু মোল্লা, কাজল ও বোরহানের শ্বশুর আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।সেখানে বিষয়টি বিস্তারিত শুনানির পর লম্পট বোরহানকে সাতটি জুতার বাড়ি দিয়েই বিচার শেষ করা হয়। তবে সালিশে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য অভিযুক্ত বোরহান উদ্দীনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও ঐ গৃহবধূকে কোনও টাকা দেয়া হয়নি। পুরো টাকাই সালিশের লোকজন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গৃহবধূর স্বামী মোবাইলে জানান, গ্রামের প্রধানেরা বসে সব কিছু শুনে বোরহানকে জুতাপেটা করেছেন। তবে আমরা কোনও টাকা পয়সা পাইনি। বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। তাছাড়া ভিকটিমের পরিবারও কিছু জানায়নি। তবে আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
0 comments: