Wednesday, April 4, 2018

বাড়ছে দুর্ভোগ, পাকা সড়কে কাদা

সড়ক জুড়ে কাদার পড়ত। কোথাও বড় বড় গর্তে আটকাপড়া পানি। চচকৈড় মধ্যমপাড়া পাকা সড়কে যানবাহন চলাচল করা তো দূরের কথা। পায়ে হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। গত রবিবার রাতের বৃষ্টিতে পাকা সড়কটির এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইটভাটার ট্রাক্টরে মাত্রাতিরিক্ত ধারণ ক্ষমতায় বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা সড়কটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ।
গুরুদাসপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা জানান, পৌর সদরের আদম আলী শাহর মোড় হয়ে ধারাবারিষা ইউনিয়নের হাজীর হাট চিত্লাপাড়া দিয়ে আছিরের মোড় হয়ে মধ্যমপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত এই সড়কসহ আরো দুটি সড়ক সংস্কারের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচল করায় সড়কগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফোজদার জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ বছরখানেক আগে গ্রামের সড়কগুলো কার্পেটিং করা হয়েছিল। সড়কে পড়া ট্রাক্টরের মাটি বৃষ্টিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। এতে কার্পেটিংয়ের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। নতুন করে এসব সড়ক সংস্কারে ব্যয় হচ্ছে ৬০ কোটি টাকা।
গত মঙ্গলবার পৌরসভার চিত্লাপাড়া-হাজীর হাট সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া হতে তারাশিয়া পাড়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়ক কাদায় পরিপূর্ণ। দেখে বোঝার উপায় নেই যে ছয় মাস আগে সড়কটি কার্পেটিং করা হয়েছিল।
চিত্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক ও আয়ুব আলীসহ কমপক্ষে ১০ জন অভিযোগ করেন, সারাদিন চলে ট্রাক্টরে মাটি বহন, ট্রাকে ইট-কয়লা পরিবহন। এতে সড়ক হয়ে পড়ে ধুলিময়। রবিবারের বৃষ্টিতে পাকা সড়কের ওপর কাদার পড়ত জমেছে। এতে পায়ে হেঁটে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী জানান, ভারী যানবাহন চলাচলে শুধু সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। শুকনোয় ধুলো আর বর্ষায় কাদায় রীতিমতো নাগরিক দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। ইটভাটা মালিকদের সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গেলে ইটভাটার দরকার আছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তাদের ইটভাটা চলছে। উন্নয়নের স্বার্থে সাময়িক কষ্ট মেনে নিতে হবেই।

SHARE THIS

0 comments: