Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts

Monday, May 20, 2019

গুরুদাসপুরে ধান চাল ও গম সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন

গুরুদাসপুরে ধান চাল ও গম সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন

মো.আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীন গম, বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি। 
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা খাদ্য গুদামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আচানুল হক আল আমিন, উপজেলা চাউলকল মিল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ আয়নাল হক তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সামছুল হক শেখ প্রমূখ।  
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ খান জানান, চলতি অর্থবছরে ২৬ টাকা কেজি দরে ১৮৯ মেট্রিক টন গম, ২৮ টাকা কেজি দরে ২৩৫ মেট্রিক টন বোরো ধান ও ৩৬ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ১১২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  গম ক্রয় ৩০ জুন পর্যন্ত হলেও ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত।  
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, এবার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে গম, ধান ও চাল ক্রয় করা হবে।  সংগ্রহ অভিযানে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
‘বালিশ কাণ্ডে’ রূপপুর প্রকল্পে দুই তদন্ত কমিটি

‘বালিশ কাণ্ডে’ রূপপুর প্রকল্পে দুই তদন্ত কমিটি

তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ভবনের আসবাবপত্র ও বালিশ কেনাসহ অন্যান্য কাজের অস্বাভাবিক খরচ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক এ কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিল বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদফতর নির্মাণাধীন ৬টি ভবনে আসবাবপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য দাফতরিক প্রাক্কলন প্রণয়নপূর্বক ৬টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
প্যাকেজের প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিম্নে প্রাক্কলন করায় অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগ দেয় গণপূর্ত অধিদফতর। এক্ষেত্রে দাফতরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আলোচ্য কাজের বিপরীতে এখনও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনছেন হবিগঞ্জের ডিসি

কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনছেন হবিগঞ্জের ডিসি

কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বানিয়াচং উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনেছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। আজ রোববার বিকালে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে দোয়াখানি মহল্লার প্রকৃত কৃষক ছবিল মিয়ার বাড়িতে যান। তখন তার কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে দুই টন ধান কেনেন।
এরপর একই মহল্লার কৃষক তগদির মিয়া ও শরীফ উদ্দিনের কাছ থেকে দুই টন করে চার টন ধান কেনেন। ২৬ টাকা কেজি দরে এক মণ ধানের দাম আসে ১ হাজার ৪০ টাকা। জানা গেছে, এ উপজেলায় ১ হাজার ৯০ টন ধান ও ৪ হাজার ৮৫ টন চাল কেনা হবে। শুক্রবার অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন এমপি আবদুল মজিদ খান। আর রোববার ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কেনা শুরু করেন।
ধান কেনার সময় তার সঙ্গে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের ডিডি মোহাম্মদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম, বানিয়াচং ইউএনও মো.মামুন খন্দকার, এসিল্যান্ড সাব্বির আহমদ আকুঞ্জি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক খালেদ হুসাইন, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম। ইউএনও মো.মামুন খন্দকার বলেন, কৃষকেরা যেন ধানের দাম পান ও প্রকৃত কৃষক সরকারের কাছে ধান বেচতে পারেন সে জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। একজন কৃষক কমপক্ষে দুই টন ধান বেচতে পারবেন।
কৃষক ছবিল মিয়া ও শরীফ উদ্দিন বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় টেনশনে ভোগেন। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ার শংকায় সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে সাহস করেননি। ডিসি সাব বাড়িতে এসে ধান কেনায় খুব সহজে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন।
মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে লাভ হয়েছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকেরা। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই মূল্যে যেন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারি সেটা নিশ্চিত করা একটা উদ্দেশ্যে। আর একটা উদ্দেশ্যে হল, সামনে ঈদুল ফিতর উৎসব। অন্যান্য পেশার লোকজন যখন তারা খুশি মনে ঘরে ফিরবে।
আর তখন কৃষকের হাতে যদি অর্থ না থাকে তাহলে কিন্তু কৃষকের জন্য এটি খুব কষ্টের হবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, কৃষকরা যেন খুশি থাকেন। তাদের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরেজমিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি এসে ধান ক্রয় করছি। তিনি বলেন, এভাবে ধান কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ইউএনওকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। কারণ কৃষক ভালো থাকলে, সারাদেশ ভালো থাকবে।
সরাসরি কৃষকের ধান কিনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ

সরাসরি কৃষকের ধান কিনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ

সরাসরি ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইমদাদুল হক সুমন এ নোটিশ পাঠান। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করা, চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করা এবং চাল রফতানির অনুমতি দিতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পাশাপাশি কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পান, সে লক্ষ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাঠানো আইনজীবী বলেন, ‘দেশে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষকরা পাচ্ছেন না। যে কারণে কৃষকরা ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ধানক্ষেতে আগুন দিচ্ছেন। আগামীতে ধান চাষ করবেন না বলেও কৃষকরা ঘোষণা দিচ্ছেন। কৃষকরা যদি এমন সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এটি আমাদের জন্য অশনি সংকেত। এ থেকে উত্তরণের জন্য আমি এ নোটিশ পাঠিয়েছি।’ নোটিশে অতিদ্রুত সরকারের নির্ধারিত এক হাজার টাকা, ১১০০ টাকা ও ১২০০ টাকা মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার এবং সরকারের নির্ধারিত মিল কর্তৃপক্ষকে ধান কিনতে বলা হয়েছে।

Tuesday, April 2, 2019

অভাবে পুত্র সন্তান বিক্রি করলেন বাবা

অভাবে পুত্র সন্তান বিক্রি করলেন বাবা

৫ মাস বয়সী ইয়াছিন নামের পুত্র সন্তান বিক্রি করে দেয়া অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে । অভাবের তাড়নায় দালালের মাধ্যমে ওই সন্তান বিক্রি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামের পূর্বপাড়া মুন্সি বাড়িতে। সোমবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিত দেখে সন্তানকে ফিরে পেতে বুকফাটা আর্তনাদে ফেটে পড়েন ওই হতভাগা ছেলের মা বিলকিস বেগম (৩৫)।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন। আমার সন্তানকে আমার স্বামী দালালের মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছে। সন্তানহারা বিলকিস বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি মাইক্রোবাসযোগে কয়েকজন লোক আসলে, আমার কোল থেকে জোরপূর্বক আমার ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের নিকট দিয়ে দেয় আমার স্বামী। আমি অনেক আকুতি মিনতি করেও আমার সন্তানকে আগলে রাখতে পারিনি।
তিনি বলেন, সন্তান দিতে না চাইলে, আমার স্বামী আমাকে মারধর করে সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুনেছি আমার স্বামী চরবাকর গ্রামের বলিমন্দের বাড়ির নূরুল ইসলামের মাধ্যমে দুই লাখ টাকায় আমার সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সন্তানকে কোথায় বিক্রি করেছে জানি না। আমার স্বামী জুয়ারি, জুয়া খেলে এখন প্রায় সর্বশান্ত।
তাই অভাবের তাড়নায় আমার সন্তান বিক্রয় করেছে। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও আমি আমার সন্তান ফিরে পেতে চাই।এদিকে বিলকিসের অভিযুক্ত স্বামী সেলিম মিয়া (৪৫) বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে ২২ বছর পূর্বে। অভাবের সংসার, স্ত্রী ও ৫ পুত্র ১ কন্যা নিয়ে সংসারের ভরণ-পোষণ খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তাই চরবাকর গ্রামের ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের মাধ্যমে আমার সন্তানকে কুমিল্লায় এক নিঃসন্তান পরিবারের নিকট দত্তক হিসেবে দিয়েছি। তবে আমি কোনো টাকা পয়সা নিয়ে সন্তানকে বিক্রি করিনি। আমার সন্তান ভালো থাকবে, লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। এজন্যই দত্তক দিয়েছি। শিশুটিকে দত্তক দিতে সহায়তাকারী চরবাকর গ্রামের ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের নিকট কোথায় সন্তান দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্তান বিক্রয় করা হয়নি, ওই পরিবারের সম্মতি নিয়েই কুমিল্লায় এক নিঃসন্তান শিক্ষক পরিবারের নিকট দত্তক দিয়েছি।
তবে ওই পরিবারের পরিচয় সে জানে না, এমনকি নামও জানেন না। তবে একটি সেল ফোন নম্বর দিয়ে বলেন, এটাই আছে। পরে ওই সেল ফোনে যোগাযোগ করে জানা গেছে ভিন্ন কথা। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন, আমি এ বিষয় কিছুই জানি না, আমি কোনো সন্তান নেইনি, যারা নিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে তার নাম শামিম আহমেদ, পেশায় শিক্ষক বলে জানান। তিনি বলেন, তার কোনো সন্তান নেই। একটি সন্তানের খোঁজে আছেন অনেক দিন।
তাই তার এক ছাত্র একটি সন্তানের খোঁজ দেন। পরে ওই ছাত্র তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তার মা ও তার ভাই দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। শামিম আহমেদ বলেন, নুরুল ইসলাম ওই শিশুটির সন্ধান দেন এবং বাচ্চা নিতে হলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।
এত টাকা দিয়ে বাচ্চা কেনার সামর্থ আমার ছিল না। পরে আরো একটি ধনাঢ্য নিঃসন্তান পরিবারের বাচ্চার প্রয়োজন হলে, ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, ওরা গত ১৬ মার্চ এসে বাচ্চা দেখে পছন্দ করেন এবং কথাবার্তা শেষে গত ২৯ মার্চ ৩শ’ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কিছু শর্ত সাপেক্ষে (শর্তগুলোর মধ্যে এ বাচ্চা আর কখনো দাবি করতে পারবে না, তার খোঁজখবরও নিতে পারবে না উল্লেখযোগ্য) ৩ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর নিয়ে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাচ্চা নিয়ে যায়।
তবে শামিম আহমেদ ওই পরিবারের পরিচয় দিতে অপারগতা জানান, এক পর্যায়ে বাচ্চা গ্রহীতার নাম মঞ্জু, চট্টগ্রামে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, বাচ্চাটি ভালো থাকবে, ওই পরিবার বিশাল সম্পদের মালিক। ভবিষ্যতে সব কিছুরই মালিক হবে ওই শিশুটি।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ওই বাড়ির কয়েকজন নারী জানান, বাচ্চা বিক্রি করে দেয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা বাচ্চাটিকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, পারিনি।
সেলিম মিয়া আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং তার স্ত্রীকে মারধর করে বাচ্চাটিকে নিয়ে যায়। ওই সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষও ছিল না, যে তাকে বাধা দিবে। তারা জানান, ২২ বছর পূর্বে বিলকিস বেগমের সঙ্গে সেলিমের বিয়ে হয়। তাদের ৫ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান হয়।
বড় ছেলে মো. সবুজ (২০) গ্রামের বাড়িতে থেকে সিএনজি চালায়, আকাশ (১৭) চট্টগ্রামে দাদা-দাদি-চাচার সঙ্গে থেকে সিএনজি চালায়, সাওন (১৪) স্থানীয় একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে আছে, চতুর্থ ছেলে সাওন (৯) এবং এক মাত্র মেয়ে সাথী (১২) স্থানীয় বারুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। আর সর্বশেষ পঞ্চম পুত্র ইয়াছিনকে বিক্রয় করে দেয়া হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার কয়েকজন লোক জানান, বারুর এবং পোনরা গ্রামে বড় বড় জুয়ার আসর বসে। সেলিমও পাক্কা জুয়ারি আয়ের অধিকাংশ টাকাই জুয়া খেলে শেষ করে। জুয়ায় অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে সে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, এটি অতন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি সবার সঙ্গে কথা বলে বাচ্চাটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবীন্দ্র চাকমা জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে যেহেতু বিষয়টি এখন শুনেছি, তদন্তপূর্বক বাচ্চা উদ্ধারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।