Wednesday, April 4, 2018

গুরুদাসপুরে ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিল ১৫ শিক্ষার্থী

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিয়েছে নাটোরের গুরুদাসপুরের ১৫ শিক্ষার্থী। 
 
সোমবার গুরুদাসপুর উপজেলার বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে। পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে।
 
এ ঘটনায় পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা তিন শিক্ষককে পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। অব্যহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- ওই কলেজের প্রভাষক মো. লুৎফুল হক, রীতামনি ও প্রদর্শক মো. আখের আলী। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। 
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,- গুরুদাসপুর উপজেলার আটটি কেন্দ্রের মধ্যে ১ নম্বর কেন্দ্র বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ। এ কলেজ কেন্দ্রে এ বছর দশটি কলেজের ৬১৫ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৩০১ নম্বর কক্ষে ছয়টি কলেজের ৫১জন শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস রয়েছে। এই কক্ষে ১৫, ১৬,১৭ ও ১৮ সালের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুইজন, নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের একজন,  কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুইজন, রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের চারজনসহ খুবজিপুর এমহক ডিগ্রি কলেজের ছয়জনসহ মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী (অনিয়মিত) ১৫, ১৬ ও ১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণিত প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা দেয়ার কথা। এ ছাড়া একই কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ড. মহসিন আলী কলেজের (নিয়মিত) ৩৬ জন শিক্ষার্থী চলতি সিলেবাস অনুযায়ী প্রণিত প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা দেয়ার কথা। কিন্তু অনিয়মিত ১৬ শিক্ষার্থীর পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধা ড. মহসিন আলী কলেজের ১৫ শিক্ষার্থীকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এ ছাড়া অনিয়মিত ওই ১৬ শিক্ষার্থীকে চলতি সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। 
 
মুক্তিযোদ্ধা ড. মহসিন আলী কলেজের নিয়মিত পরীক্ষার্থী রাসেল রানা, রুনা খাতুন, কাওছার আলী, মারুফ আহমেদ ও সাকিবুল ইসলাম জানান,- তাদের কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্র দেয়ার সময় ভুলক্রমে তারা ২০১৬ সালের পুরোনো সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত ওই প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে। এরপর পরীক্ষা শেষে বিষয়টি তারা বুঝতে পারে। তবে শিক্ষকরা তাদের প্রবেশপত্র দেখে প্রশ্নপত্র দেননি। এখন পূরনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে তারা ফলাল নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
 
রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী দিপাসহ বিভিন্ন কলেজের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী জানান, বুঝতে না পেরে তারা চলতি সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে পরীক্ষা কমিটির দারস্থ হন। সেখানে শিক্ষকরা ফলাফলের ব্যপারে তাদের আস্বস্থ করেছেন। 
 
কেন্দ্র সচিব বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম ইত্তেফাককে জানান, কম সময়ে প্রশ্নপত্র মিল করতে একটু সমস্যা হয়। ওই তিন শিক্ষককে দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবহিত করা হয়েছে।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, এমন ঘটনার যেন আর না ঘটে সে ব্যপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
 

SHARE THIS

0 comments: