আশরাফুল ইসলাম রনি: প্রতি বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ‘নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ’-এ অঘোষিত ছুটি থাকে। কেননা এই দিন কলেজটির মাঠে গরু-ছাগল আর কাঠের তৈরি খাট-চৌকির হাট বসে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এ অবস্থা।কলেজের দপ্তরি রমা নাথ বলেন, ‘কলেজ মাঠে সাপ্তাহিক হাট বসায় বছরের কোনো বৃহস্পতিবারই স্যাররা (শিক্ষক) ঠিকমতো আসেন না। এ কারণে ছাত্র-ছাত্রীরাও নিয়ম করে হাটবারে না আসায় কলেজে অঘোষিত ছুটি থাকে।’জানা যায়, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘নওগাঁ হাট’। এ হাটে তিন জেলার চারটি উপজেলার মানুষ আসে। তাই এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি অন্য হাটের তুলনায় বেশি। গত বছরের ১৮ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে নওগাঁ হাট ইজারা কমিটির চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিনামায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্বে এক বছরের জন্য হাটটি ইজারা দেওয়া হয়।চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইজারাদার হাট সীমানার বাইরে কোনো ধরনের দ্রব্যসামগ্রীর হাট বসাতে বা টোল আদায় করতে পারবেন না।এ ছাড়া ইজারাদার নিজ খরচে হাট পরিষ্কার রাখবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ইজারাদার চুক্তির সব শর্ত ভঙ্গ করে
হাটের সীমানার বাইরে কলেজ মাঠে হাট বসিয়ে টোল আদায় করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আবু সাঈদ জানান, কলেজটির অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন তিনি।অন্যদিকে ইজারাগ্রহীতা মো. আলহাজ উদ্দিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই কলেজ মাঠে হাট বসছে। তবে উপজেলা প্রশাসন আমাদের কলেজ মাঠে হাট বসাতে না করে দিলে আমরা এখান থেকে হাট সরিয়ে নেব।’শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে কোনোভাবেই হাট-বাজার বসতে পারে না উল্লেখ করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’এ ব্যাপারে দ্রুত আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফফাত জাহান।
0 comments: