মো.আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) : নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন- শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমি এক নাম্বার।
প্রধানমন্ত্রী পারেননি, রাষ্ট্রপ্রতি পারেননি, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পারেননি, খালেদা জিয়া পারেননি। আমার প্রয়োজন ৭টি কলেজ, সেখানে কলেজ কামিল মাদ্রাসা মিলে আছে ৬৭টি। ৬০টি কলেজ বেশী। আমার হাইস্কুল দরকার ২৩টি, হাইস্কুল আছে ১০৫টি। প্রাইমারী স্কুল দুই থানাতে দরকার ৮৫টি, আর আছে ১৯৬টি। তিনি বলেন, “উন্নয়ন সূচকে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম সাত নম্বরে আছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টঙ্গিপাড়া উপজেলা থাকবে এক আর গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম থাকবে দুই নম্বর উন্নয়ন সূচকে”।
আমরা চাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের যুবসমাজ ও নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠুক এবং সেই গড়ে উঠার মধ্যদিয়ে আমাদের যে লক্ষ্য আমাদের যে স্বপ্ন- ‘‘সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ’’ গড়ে উঠুক। সোমবার বিকেল ৩টায় গুরুদাসপুরের ডক্টর জাফরুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ, নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শ্রী মকুল চন্দ্র দাম। অনুষ্ঠানটি
উক্ত অনুষ্ঠানের সূচি অনুযায়ী প্রথমে কুরআন তেলোওয়াত, গীতা পাঠ করেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। এরপরেই স্কুলের শতাধিক শিশু সন্তানেরা তাদের মায়ের পা ধুয়ে মুছে দেওয়ার মতো এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই বিতরণ করেন সংসদ সদস্য।
এসময় গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাহারুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুুর রহমান, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন প্রভাষক রুহুল করিম আব্বাসী তুহিন।
মার্চের এই দিনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আব্দুল কুদ্দুস এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একলা চলেছেন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সেইজন্যে আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একাত্তরের এই মার্চ মাস থেকেই আমাদের হাজার বছরের আকাঙ্খা স্বাধীনতার রনক্ষেত্রের পটভূমি তৈরি হয়েছিল। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা, আর ২৬ মার্চে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা।
মাঝখানে আরেকটি দিন আমরা পেরিয়ে আসলাম- বাঙালি জাতি যে যেখানে আছেন জাতির জনকের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছেন। সেই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ৩০ লক্ষ শহীদ ভাইবোনদের প্রতি। জাতীয় চার নেতা এবং যেসকল বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেখানে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি- জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে- সেখানে আমাদের শিক্ষক ভাইবোনেরা যাতে নিশ্চিন্তে শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়া করাতে পারেন সেজন্য তাদের বেতন দ্বিগুন করা হয়েছে। তারপরেও প্রাইভেট টিচারের বাড়িতে ক্লাসের শিক্ষার্থীরা অধিক সময় দিচ্ছে।
বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজের কিছু শিক্ষক কলেজে হাজিরা দিয়েই যান দাদনের ব্যবসা করতে। এই অবস্থা হচ্ছে আমাদের শিক্ষার গুণগত মানের। উন্নত করতে হলে আমরা যতই চেষ্টা করি, যতক্ষণ না আমাদের শিক্ষক ভাইবোনেরা নিজেদের বিবেকের আয়নায় নিজেকে না দেখবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের শুধু চিৎকারই করতে হবে।
0 comments: